খুলনায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে গল্লামারী বধ্যভূমিতে ছোট একটি স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা হয় ১৯৯০ সালে। ওই বছরের ২৬ মার্চ এটির উদ্বোধন করেন শহীদ পিতা আলতাউদ্দিন আহম্মদ। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক কাজী রিয়াজুল হক ও পুলিশ সুপার আওলাদ হোসেনের উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে এবং পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নকশা অনুযায়ী স্থায়ীভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হয়। এরপরও খুলনার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এখানে আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর সৌধ নির্মাণের দাবি অব্যাহত থাকে। ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইকবাল নতুন ডিজাইনের গল্লামারী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী সমৃদ্ধ সৌধের নকশা প্রণনয় করেন স্থপতি আমিনুল ইসলাম ইমন। স্মৃতিসৌধে রয়েছে পাশাপাশি দু'টি সুউচ্চ স্তম্ভ। মাঝে লাল রক্তিম সূর্য। ৭টি দণ্ড সাত বীরশ্রেষ্ঠ'র প্রতীক। লাল রক্তিম সূর্য সাত বীরশ্রেষ্ঠ ধারণ করে আছেন। সামনে প্রশস্ত সিঁড়ি।
ডিজাইন শেষের পর স্মৃতি সৌধের নির্মাণ কাজের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি টাকা। প্রথম দরপত্র আহ্বানে নির্মাণ কাজের জন্য চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান না পাওয়ায় সেবার তা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে এলজিইডি সদর দপ্তরের নির্দেশে প্রাক্কলনের স্থায়িত্ব বিবেচনায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েটে) পরামর্শ নেয়া হয়। ২০০৯ সালের মে মাসে জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদের বৈঠকে দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেবার আজাদ ইলোরা জয়েন্ট ভেঞ্চার ২ কোটি ১৬ লাখ টাকায় সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয় ও স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ পায়। এ অর্থের মধ্যে ২ কোটি টাকা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও ১৬ লাখ টাকা জেলা পরিষদ বরাদ্দ দেয়। এছাড়া ডিজাইনে সৌধের সিঁড়ি নিয়ে আপত্তি ওঠায় তার প্রশস্ততা ২ ইঞ্চি বাড়াতে অতিরিক্ত ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩১২ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস