তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা এবং ফেসবুক ব্যবহারকারিদের জন্য সামগ্রিক সতর্কতাঃ
মানুষের বাহ্যিক আচার আচরণ ও কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্র আইন প্রণয়ন করে থাকে। যার লক্ষ থাকে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা। তেমনি ভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আইনগত বৈধতা ও নিরাপত্তা প্রদান এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে আইন প্রণয়নের লক্ষে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬’ (সংশোধনী ২০১৩) প্রণীত হয়। এই আইনের ৫৭ ধারা, ওয়েব সাইট বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কার্যকলাপের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রন আরোপ করেছে।
আমরা অনেক সময় ফেসবুকে খামখেয়ালীর বসে কোন মন্তব্য প্রদান করি বা অন্যের এমন কোন ছবি আপলোড করি যা তার জন্য বিব্রতকর অথবা বেফাস কোন উক্তি অথবা প্রপাগান্ডা ছড়াই যা নিছক মজা করার জন্য। কিন্তু এইরুপ কৃতকার্য অন্যের জন্য অপমানজনক হতে পারে বা কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানতে পারে যা আইনের দৃষ্টিতে অন্যায়। আর এই অন্যায় আপনার জীবনের জন্য কাল হয়ে উঠতে পারে। আইনে বলা হয়েছে ধারা- ৫৭/১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্য হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কার্য হবে একটি অপরাধ৷
আর এই অপরাধের সাজা সংশোধনীর মাধ্যমে নিম্নে ৭ বৎসর থেকে সর্বোচ্চ ১৪ বৎসর পর্যন্ত করা হয়েছে। সাথে অর্থদণ্ডের বিধান ও রাখা হয়েছে।
তাই ফেসবুক ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।সাথে সাথে কেউ যাতে আপনার অনুমতি ছাড়া ওয়ালে কোন কিছু ট্যাগ করতে না পারে, সেজন্য আপনার ফেসবুক সেটিংস গিয়ে ট্যাগ রিভিউ ( Tag Review) করে রাখেন। সর্বোপরি সতর্কতার সাথে ফেসবুক ব্যবহার করে আইনি জটিলতা এড়িয়ে চলুন।
By Admin
আইন ও অধিকার
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS